ঢাকা | বৃহস্পতিবার | ২১শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৭শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান: সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতি হোক বা কতই চ্যালেঞ্জ থাকুক, আমাদের সুস্থ ও সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরও বলেন, এটি একটি জরুরি লক্ষ্য যে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী প্রজন্মকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যের দিক থেকে সুস্থ রাখতে হবে।

বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে প্রধান উপদেস্টার কার্যালয়ে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে এক যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য স্বাক্ষরিত ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমাদের সচেতনতা ও কার্যক্রম জোরদার করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ স্বাস্থ্যই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি। তিনি বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্যও উদ্বেগের বিষয়। আমাদের ভূ-গোল ও জনসংখ্যার ছোট এলাকা, উচ্চজনসংখ্যার কারণে এ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। এটি শুধু স্বাস্থ্যখাতের বিষয় নয়, বরং দেশের অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের সাথে গভীরভাবে জড়িত।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশের মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশই ঘটে অসংক্রামক রোগের কারণে। এর মধ্যে ৭০ বছরের নিচে মৃত্যুহার ৫১ শতাংশ, যা অকাল মৃত্যুর মূল কারণ। দেশের ব্যক্তিগত চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৯ শতাংশই অসংক্রামক রোগের চিকিৎসায় খরচ হয়, যা মানুষের অর্থনীতির ওপর বড় চাপ সৃষ্টি করে।

তিনি বলেন, ক্যান্সার বা অন্যান্য অসংক্রামক রোগ থাকলে পরিবারগুলোকে অনেক বেশি আর্থিক ঝুঁকি নিতে হয়, প্রায়শই সহায়তা বা সম্পদের অভাবের কারণে খুব কষ্টে পড়তে হয়। কখনো কখনো বিদেশে উচ্চ মূল্যে চিকিৎসা করানোও প্রয়োজন হয়, যা দেশের অর্থনীতি ও রোগীর পরিবার দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত করে।

প্রধান উপদেষ্টা emphasizes করেন, অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার পাশাপাশি, রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা এবং কার্যকর প্রতিরোধের ব্যবস্থা অপরিহার্য। এজন্য শুধু স্বাস্থ্য বিভাগ নয়, প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে একযোগে কাজ করতে হবে। খাদ্য, কৃষি, শিক্ষা, ক্রীড়া, স্থানীয় সরকার, গণপূর্ত—all sectors-এর ভূমিকা অপরিহার্য। প্রতিটি сектор থেকে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং কঠোর বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এজন্য এই জোটের কার্যক্রমে কিছু বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যার উল্লেখ ভবিষ্যত পরিকল্পনার ভিত্তিতে করা হবে।

এ বিভাগের আরও খবর